বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর তুরাগতীর

 

তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যোগ দিতে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির ঢল নেমেছে। 

বৃহস্পতিবার সকালে ইজতেমা মাঠে সরেজমিন দেখা যায়, ময়দানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা ইতোমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। এবার ইজতেমা ময়দানকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। প্রচণ্ড শীত ও শৈতপ্রবাহ উপেক্ষা করে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের চটের ছাউনির নিচে অবস্থান নিয়েছেন।

১৬০ একর খোলা ময়দানে বাঁশের খুঁটির ওপর পাটের চট দিয়ে টাঙানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। বিদেশি মেহমানদের জন্য টিনের ছাউনি দিয়ে আবাসস্থল করা হয়েছে। 

করোনার কারণে দুই বছর ইজতেমা বন্ধ থাকার পর এ বছর ইজতেমায় বেশিসংখ্যক মুসল্লি যোগ দেবেন বলে আশা করছেন ইজতেমার আয়োজকরা।

ঘন কুয়াশা, কনকনে শীত আর শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে পরিপূর্ণ তুরাগতীর। শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মূলত বুধবার রাতেই পুরো ইজতেমা ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে দলবেধে মুসল্লিরা আসছেন ইজতেমা ময়দানে।

বুধবার রাত থেকেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা জামাতবদ্ধ হয়ে দলে দলে ইজতেমা মাঠের নির্ধারিত স্থানে (খিত্তায়) প্রয়োজনীয় মালামাল ও ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন। তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এই ইজতেমা ময়দানে আগামীকাল শুক্রবার। এতে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি এক জামাতে শরিক হয়ে জুমার নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

রাজধানী ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এ বৃহৎ জুমার নামাজে শরিক হবেন।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ