বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজও পতনের ধারায় শেয়ারবাজার

 

গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবারও দরপতনের ধারায় লেনদেন চলছে শেয়ারবাজারে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুরনো কৌশলে পতন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ৩৫০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের। এর মধ্যে ৭৯টি দর বেড়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। বিপরীতে দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ২২৩টি। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হতে দেখা গেছে ৬০টিকে। অর্থাৎ এ সময় পর্যন্ত লেনদেনে আসা শেয়ারগুলোর মধ্যে ২২ শতাংশ দর বেড়ে এবং ৬২ শতাংশ দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল।

যদিও এর আধা ঘণ্টা আগের পরিস্থিতি ছিল আরও খারাপ। লেনদেনে আসা ১১৪ শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। দরপতন রোধে ফের নানা পর্যায়ে চাপ দিয়ে বা শেয়ার বিক্রি বন্ধ করিয়ে পতন রোধের পুরনো কৌশল নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি- এমন তথ্য বাজার সূত্রে জানা গেছে।

নানা প্রচেষ্টায় শেয়ারদর বাড়ানোর চেষ্টা সত্ত্বেও সকাল ১১টা পর্যন্ত বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হওয়ায় এ সময় প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৬৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। কিন্তু সাড়ে ১০টায় ডিএসইএক্স সূচকটি ৬৬৬৬ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমেছিল। প্রথম ঘণ্টায় এ বাজারে ১২৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অযাচিত হস্তক্ষেপ দিয়ে যে শেয়ারবাজারের দরপতন বন্ধ হয় না বা দুই-চারজন কারসাজি চক্রের হোতকে দিয়ে যে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তা আবারও প্রমাণ হয়েছে।

কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিষয়টি বুঝতে পারছে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, সাময়িতভাবে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর ফল ভালো হয় না। বিষয়টি বোঝার পরও অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ হচ্ছে না। এ কারণে বাজার স্থিতিশীল হতে পারছে না বলেও মন্তব্য ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তাদের।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ