বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতি পেলেন মোঃ শাহগীর আলম

 

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিব মোঃ শাহগীর আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে গত ৫জানুয়ারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। তিনি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার রশিদপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রকৌশলী মৃত. মোঃ আবদুল ওয়াহেদ এর একমাত্র গর্বিত সন্তান।    


জানা যায়, শাহগীর আলম ২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ন হয়ে ২০০৫ সালে মাগুরায় ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগদান করেন। পরে তিনি খুলনায় এনডিসি, রাজবাড়ি বালিয়াকান্দি ও শ্রীপুরে এসিল্যান্ড, লাকসামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তারপর জাপানে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান। পরে দেশে ফিরে ২০১৬ সালে ঢাকা আগারগাঁওয়ে আইসিটি ডিভিশনে যোগদান করেন। পরে সচিবালয়ে উপসচিব পদে জয়েন করে। ২০২০ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। গত ৫জানুয়ারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মোঃ শাহগীর আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদোন্নতি দেন। 

শাহগীর আলম প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষ করে সিরাজগঞ্জ বি.এল স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বায়োকেমিস্ট্রিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাষ্টার্স শেষ করেন। পরে তিনি তিনি ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। 

মোঃ শাহগীর আলমের পিতা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রকৌশলী মৃত. মোঃ আবদুল ওয়াহেদ সুনামের সাথে চাকুরী জীবন শেষ করেন। মাতা রৌশন আরা বেগম একজন আদর্শ গৃহিনী। বর্তমানে শাহগীর আলম ও স্ত্রী আছমা আক্তার সুমির ১ছেলে ২ কন্যা সন্তানের জনক-জননী। মোঃ শাহগীর আলম শৈশব থেকেই স্বদেশ প্রেমের চেতনায় বেড়ে ওঠেন। সরকারি চাকরী জীবনের গত ১৬ বছরে তিনি জনসাধারণের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে জনসাধারণের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো বন্ধুত্বপূর্ণ। দায়িত্বরত প্রত্যেক এলাকায় তার কার্য্যালয় ছিলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। যে কোনো সময় যে কেউই তার কাছ থেকে সরাসরি সেবা পেতেন। তার কার্য্যালয় ছিলো অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ