শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুর্নীতির মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

 

মো:জিয়াউদ্দিন বাবু:  জ্ঞাত আয়-বর্হিভুত সম্পদ অর্জন, মিথ্যা ও তথ্য গোপনে দায়ে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিসের অডিটর স্ত্রী ও তার স্বামীকে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাাশি দুই জনকে সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৯ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ রায় দেন।


দণ্ডিতরা হলো- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিসের অডিটর ও ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন ও তার স্বামী একই গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান। রায় ঘোষনার সময় স্বামী-স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  


বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই দুদকে দেয়া সম্পদ বিবরনীতে দন্ডিত শাহনাজ পারভীন ১২ লাখ ৬৪৯ টাকার তথ্য গোপন, ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ টাকার মিথ্যা তথ্য দেয়া ও ৫০ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের প্রমান পায়। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৬ অগাষ্ট দূদকের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম কাজী বাদী হয়ে শাহনাজ পারভীনকে আসামী করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে। একই কর্মকর্তা মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন, তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেয়ায় স্ত্রীকে সহায়তা করার দায়ে স্বামীসহ শাহনাজ পারভীনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশীট জমা দেয়।


আদালত মামলার ২১জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করে রায় দেন।রায়ে স্ত্রী শাহনাজকে দুই ধারায় মোট ৫ বছর কারাদন্ড, ৪১ লাখ চার হাজার ৮৪৭ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। স্বামী মাহফুজুর রহমানকে তিন বছর কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিনমাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ