বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দৃষ্টির অন্তরালে

বিশ্ব উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ

 

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের গুণাবলীর দিক থেকে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে যেয়ে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতার যে প্রমাণ রেখে চলেছেন তা শুধু দেশেই নয়, দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের গুণে তিনি আজ বিশ্ব নেতা হিসেবে স্বীকৃত। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

তথ্যপ্রযুক্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়া, স্বামী পরিত্যাক্তা ও বয়স্ক নারী-পুরুষদের জন্য ভাতা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সর্বোপরি বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার গৃহীত নানা কর্মসূচি সারাবিশ্বে  সাড়া ফেলেছে। তাঁর এই দূরদর্শিতার প্রশংসা করা হচ্ছে।

ঠিক এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে আমাদের দেশের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদয় সমর্থনকে আমরা বিনীতভাবে স্বীকার করি। আমরা এখন আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অবদান রাখতে চাই।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে আয়োজিত ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রথমবারের মতো এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে উগান্ডার এমওটিআইভি ক্রিয়েশনস লিমিটেড।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু পুরস্কারের উদ্দেশ্য, সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে যুব উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করে এমন উদ্ভাবনী প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বিতরণকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সত্তা বা বেসরকারি সংস্থার ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়া।

প্রথমত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক মানের একটি পুরস্কার শেখ হাসিনা নিজের হাতে দিলেন।

দ্বিতীয়ত: তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এটা স্পষ্ট করে বলা যায়- নিজের যোগ্যতা না থাকলে কেউ বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন না।

দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে যেয়ে তাঁর যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তার আলোকে হয়তো তিনি এমন কথা জোরের সাথে বলার সাহস পেয়েছেন। তাঁর এ সাহসিকতার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই- তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের কাতারে এগিয়ে যান। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ তাঁর পক্ষে রয়েছে।

লেখক: বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আতাউর রহমান মিন্টু

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)