বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

করোনাভাইরাসের প্রভাব

কর্মহারা মানুষকে কর্মে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক

 


মহামারী করোনা আপাতত কমলেও তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের মানুষও করোনার তৃতীয় ঢেউ আতঙ্কে রয়েছে। এমনিতে করোনা অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করেছে।

সব ধরনের কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। কর্মহীন হওয়া মানুষগুলো এখনও কর্ম পায়নি। ফলে তাদের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটছে না বরং অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে গেছে। করোনায় যে ক্ষতি হয়েছে তার প্রভাবে  চলতি বছরে ৫০ লাখ মানুষ কর্ম হারাতে পারে।

করোনা শুরুর আগে ২০১৯ সালের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।  চলতি বছর বাংলাদেশে দৈনিক ৭ দশমিক ৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমতে পারে। একজন পূর্ণকালীন শ্রমিকের কর্মঘণ্টা হিসেবে এ হ্রাস ৫০ লাখ শ্রমিকের সমান। অর্থাৎ চলতি বছরে ৫০ লাখ মানুষ কর্মক্ষেত্র হারাতে পারে। আইএলও’র এ আশঙ্কা হতাশা সৃষ্টি করবে। ‘কভিড-১৯ এবং শ্রমবিশ্ব’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- করোনার অভিঘাতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের শ্রম কর্মঘণ্টা আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। পূর্ণকালীন কর্মঘণ্টা হিসেবে এ হ্রাসের পরিমাণ ছিল ৮০ লাখ শ্রমিকের কর্মঘণ্টার সমান। গত বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও চলতি বছরে বিশ্ব শ্রমবাজার স্থবির বলে প্রতীয়মান।

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কর্মঘণ্টা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। পূর্ণকালীন কর্মঘণ্টার হিসাবে এ হ্রাস প্রায় ১৪ কোটি শ্রমিকের সমান। করোনা পরিস্থিতি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও এ বৈষম্য প্রকট হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র এ আশঙ্কা আমাদের মতো দেশের জন্য মেটেই সুখকর নয়। তবে এটা জোর দিয়ে বলা যায়, করোনায় বিশে^র অন্যান্য দেশকে যেমন ক্ষতি করেছে তেমন ক্ষতি বাংলাদেশকে করতে পারেনি। কারণ লক্ষ্য করা গেছে- করোনার মধ্যে সরকার কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে যেভাবে সচল রেখেছে তা অনেক দেশ পারেনি।

এটা একটা ভালো দিক বলা যায়। তার পরেও আইএলও’র আশঙ্কাকে আমরা একবারে উড়িয়ে দিতে পারি না। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাওয়ায় কর্মক্ষেত্র যারা হারিয়েছিলেন তারা অনেকে ফিরে যাচ্ছেন তাদের কর্মক্ষেত্রে। করোনার তৃতীয় ঢেউ যদি না আসে তবে কর্মহারা মানুষেরা তাদের কর্মে যোগ দিতে পারবেন। আর যদি ফের করোনা আসে সে ক্ষেত্রে সংকট বাড়বে।

এ অবস্থা সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ কর্মহারা মানুষদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের কর্মে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ

ফের করোনা আসার আশঙ্কায় খাদ্য মজুদের নির্দেশ চীনের, আমাদেরও মজুদ চাই

ফের করোনা আসার আশঙ্কায় খাদ্য মজুদের নির্দেশ চীনের, আমাদেরও মজুদ চাই

সম্প্রতি সংবাপত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যেটি শুধু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ নয়, বিশে^র অন্যান্য দেশের সাধারণ মানুষ এমনকি সরকারকেও আতঙ্কিত করে তুলেছে। খবরটি হলো, করোনা মহামারি ফের ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করে চীনে সাধারণ মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মজুদের নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সরকার। খবরটি প্রচার করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাতে বলা হয়েছে, করোনা ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এবং ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে শীত মৌসুমের আগে চীনের সাধারণ মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী মজুত করার নির্