রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর তুরাগের পাগলার বস্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি

 

রাজধানীর তুরাগের চণ্ডালভোগ এলাকার মালিক পাগলার বস্তিতে ২টি টিনের ঘরে আগুন লেগে তিন কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে জাহাঙ্গীর (১৯), রুমা আক্তার (১৭) ও আফরিন (১৪) নামের তিনজন পুড়ে মারা গেছে। আগুন লাগার পর চিৎকার করেও বাঁচতে পারেননি ওই তিন কিশোর-কিশোরী।
নিহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও রুমা আপন ভাই-বোন। আর আফরিন তাদের খালাতো বোন। 
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে চণ্ডালবুক এলাকায় খালপারের মানিক মিয়া বস্তিতে সরকারি খাসজমিতে থাকা সুরুজ মিয়ার টিনশেড ঘরে আগুন লাগে। সকালে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দগ্ধ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন। আগুন লাগার পর জাহাঙ্গীর ও রুমার বড় ভাই আলমগীর ঘর থেকে বের হতে পারায় প্রাণে বেঁচে যান।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা রায়হান জানান, ভোর সোয়া ৪টার দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে উত্তরা ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর আগুনে ক্ষতিগস্ত হয়েছে। ওই ঘর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর ও রুমার ভাই আলমগীর জানান, ভোরে হঠাৎ ঘুম ভেঙে আগুন দেখতে পান। এ সময় তিনি বের হতে পারলেও তিনজন ভেতরে আটকা পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন এসে আগুন নেভান ততক্ষণে তিনজন আর বেঁচে নেই।
আলমগীর জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে। জাহাঙ্গীর ও রুমা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করত। আর আফরিন পরিবারের সঙ্গে পাশেই আরেকটি ভাড়া বাসায় থেকে তুরাগ এলাকার একটি মাদরাসায় পড়ত। খালাতো ভাই-বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিল সে। জাহাঙ্গীরের বাবা সুরুজ মিয়া ও মা আলেয়া বেগম কয়েক দিন আগে তাঁদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গেছেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তিনটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।’

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ