শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাক অলরাউন্ডার

 

২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল হাফিজের। তার পর থেকে না জানি কত সাফল্য পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেটাই ছিল হাফিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

বছর তিনেক হয়ে গেল টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় জানালেন পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মহম্মদ হাফিজ। ২০১৮ সালে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। এ বার সংক্ষিপ্ত ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন। ১৮ বছরের কেরিয়ার অবশেষে ইতি টানলেন ৪১ বছরের তারকা পাক অলরাউন্ডার।

২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল হাফিজের। তার পর থেকে না জানি কত সাফল্য পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেটাই ছিল হাফিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে ৪১ বছরের এই তারকা ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে এখনও খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

হাফিজ ৫৫টি টেস্ট খেলেছেন। ওয়ান ডে খেলেছেন ২১৮টি। এছাড়াও ১১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে হাফিজের ঝুলিতে রয়েছে ১২ হাজার ৭৮০ রান। নিজের কেরিয়ারে মোট ৩২ বার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন। যা পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বােচ্চ। হাফিজের আগে এই তালিকায় রয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি (৪৩), ওয়াসিম আক্রম (৩৯), ইনজামাম উল হক (৩৩)। সিরিজ সেরা হয়েছেন হাফিজ ৯ বার।

২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর নির্বাচকরা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য হাফিজকে স্কোয়াডে রেখেছিলেন। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে লর্ডসে বিশ্বকাপের মঞ্চেই শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন হাফিজ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন পাক অলরাউন্ডার। এরপরই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই পাকিস্তানের জার্সিতে তাঁকে শেষবার মাঠে নামতে দেখা যাবে। কিন্তু সেই টুর্নামেন্ট করোনার জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল এক বছর। শেষ পর্যন্ত একুশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন হাফিজ।

 

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ